ভাপা ডিমের কোফতা
নারিকেলের দুধে সাধারন ডিমের অসাধারন কারি…আমাদের বরিশালের খুবই জনপ্রিয় খাবার.
ভাপা ডিমঃ
- ডিমঃ ১০টি
- মরিচের গুড়োঃ ১চা চামচ
- গরমমসলা গুড়োঃ ১চা চামচ
- লবনঃ পরিমান মত
ডিমের সাথে উপরের সব উপকরন মিশিয়ে নিন।
একটি হীটপ্রুফ সমান পাত্রে বা পুডিং বসানোর পাত্রে একটু তেল ব্রাশ করে নিন। এখন ডিমের মিশ্রন এই পাত্র ঢেলে দিন।(১ ইঞ্চি এর মত পুরু বা উচু হবে, চাইলে পাত্রের আকার অনুযায়ী ডিম বাড়াতে বা কমাতে পারবেন) পাত্রটি ফয়েল দিয়ে অথবা ঢাকনা দিয়ে আটকিয়ে দিন।
একটি বড় হাড়িতে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।চুলা বন্ধ করে ডিমের পাত্রটি সাবধানে হাড়িতে রাখতে হবে।হাড়ির পানি পাত্রটির ১/৩ পূর্ন করবে। হাড়ীর ঢাকনা দিয়ে দিন।(পুডিং বানানো্র নিয়মে)
২০ মিনিট অল্প আচে রেখে,নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিতে হবে।
অথবা ওভেনে ১৭০সে এ ২০ মিনিট বেক করুণ।
ঠান্ডা করে পছন্দমত কেটে পাত্র থেকে তুলে নিন।
কারি তৈরিঃ
- সরিষার তেলঃ ১/২কাপ + ঘিঃ ১ টেবিলচামচ
- পেয়াজ বাটাঃ ১/২কাপ
- আদা-রসুন, বাটাঃ ১চা চা করে
- নারিকেলের দুধঃ ১কাপ ঘন
- লবন পরিমান মত
- চিনিঃ ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুড়োঃ ১/২চা চামচ করে
- শুকনো মরিচ গুড়োঃ ১চা চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
- আস্তগরম মশলাঃ (এলাচঃ ৪,দারচিনি : ৩ টি ,তেজপাতাঃ ১ পিস)
- পেয়াজ বেরেস্তাঃ ১/২কাপ
- কাচামরিচ ফালিঃ ২-৩ পিস
কড়াইতে ঘি ও সরিষার তেল গরম করে নিন। ডিমের টুকরোগুলো দিয়ে হালকা ভেজে তুলে নিন।
এই একই তেলে একে একে সব বাটা ও গুড়ো মশলা দিন।১/২ কাপ পানি দিয়ে সময় নিয়ে মশলা ভাল করে কষিয়ে নিন।মশলা দিয়ে তেল বের হলে নারিকেল দুধ, ২কাপ পানি ও কাচামরিচ দিন। মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করলে ভাজা ডিমের কোফতাগুলো দিয়ে মিশিয়ে নিন।
হাড়িটি দুহাত দিয়ে নেড়ে দিন।চামচ না ব্যবহার করাই ভাল।
ঢেকে অল্প আচে ১৫ মিনিট রান্না করুন। ঝোল শুষে কোফতাগুলো আকারে কিছুটা বড় হবে।
ঝোল কিছুটা ঘন হলে চিনি ও বেরেস্তা দিয়ে নেড়ে দিন।
নামিয়ে ভাত বা রুটি বা খিচুড়ি বা পোলাউর সাথে গরম পরিবেশন করুন।