বালিশ চমচম

বালিশ চমচম

ইহার নাম বালিশ চমচম, যদিও দেখিতে কোলবালিশের মত লাগে…নেত্রকোনার এই চমচমের ১টির ওজন নাকি ১কেজির মত হয় ও মালাইয়ের সাথে ইহা পরিবেশন করা হয়।আমি ২কেজি দুধের ছানা থেকে ২ পীস করেছি। শুনেছি আরও বড় হয় নাকি তারা…

ছানা তৈরিঃ
• দুধঃ ২ লিটার
• সিরকা/ ভিনেগার/লেবুর রস ৩টেবিলচামচ বা টকদইঃ ১কাপ (আমি সিরকা দিয়ে করি)
• সুতি /মসলিন নরম কাপড়
দুধ চুলায় দিয়ে ফুটতে শুরু করলেই চুলা বন্ধ করে দিন।
সিরকার সাথে ২ টেবিলচামচ পানি মিশিয়ে অল্প অল্প করে দুধে মিশাতে থাকুন।দুধ ফেটে সবুজ পানি আলাদা হয়ে গেলে সাথে সাথে ছানা কাপড়ে ছেকে ফেলুন।এখন ঠান্ডা পানিতে ছানা ৩বার ধুয়ে নিন যাতে টক ভাব দূর হয়ে যায়।
ছানার কাপড়ের পুতলি চেপে চেপে পানি বের করে উচু জায়গাতে ঝুলিয়ে রাখুন ২ঘন্টা।

চমচম তৈরিঃ
• ছানাঃ ২কাপের কিছু কম (২ লিটার দুধের)
• সুজিঃ ৪ চা চামচ
• ময়দাঃ ১ চা চামচ

সিরার জন্যঃ
পানিঃ ৮ কাপ
চিনিঃ ২ কাপ

ক্যারামেলঃ ৩টেবিলচামচ( ১/৪কাপ চিনি ১টেবিলচামচ পানির সাথে চুলাতে দিন। চিনি যখন গাড় বাদামি হবে তখন চুলা থেকে সরিয়ে নিন।)

প্লেটে ছানা নিয়ে কিছুসময় হাল্কা বাতাসে মেলে রাখুন।এতে ছানার পানি থাকলে শুকিয়ে যাবে।ছানা হাতের তালু দিয়ে মথে নিন ১চমিনিট। এখন ময়দা , সুজি ও চিনিগুড়ো মিশিয়ে আরো ২ মিনিট এর মত মথতে হবে।ছানা ২ ভাগ করে নিন।সময় নিয়ে হাতে ঘি মাখিয়ে বড় চমচম এর আকারে বানিয়ে নিন।কোন বড় ফাটা না থাকে যেন তবে সিরায় দিলে ফেটে যাবে।(যদিও এই চমচমটাতে হাল্কা ক্রাক থাকে)

**হাড়িতে কমপক্ষে ৩ ইঞ্চি উচ্চতা পর্যন্ত পানি থাকে নয়ত মিষ্টি রান্নার সময় ফ্লাট হয়ে যাবে)

হাড়িতে চিনির সঙ্গে পানি ও ক্যারামেল দিয়ে চুলায় দিন।(ক্যারামেল মিস্টির কালার আনবে)ঢাকনা দিবেন না।ফুটে ওঠার পর সিরার ওপর থেকে ময়লা তুলে ফেলুন।


এখন  চমচম ২পিস সিরায় ছাড়ুন। আঁচ বাড়িয়ে ঢাকনা আটকিয়ে দিয়ে ১৫ মিনিট এভাবে রাখুন।১৫ মিনিট পর আচ মাঝারি করে আরো ১৫ মিনিট রাখুন, বেশ ফুলে যাবে এসময়।মিষ্টি আস্তে করে উলটে দিন।

আরও ১৫ মিনিট রান্না করে চুলা বন্ধ করে সিরাসহ চমচম পাতিলেই রাখুন ও ঠান্ডা করুন।গরম নাড়তে গেলে ভেঙ্গে যেতে পারে। ৪৫ মিনিট এভাবে রান্না হবে এটি।
ক্ষীরসা বা মালাই বা দুধের সরের সাথে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

Leave a Reply